স্টাফ রিপোর্টার ঃ নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক নুরুল আলম সিকদার তৃণমূল থেকে উঠে আসা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির একজন পরীক্ষিত নেতা। তিনি ছাত্রদল থেকে সাংগঠনিক দক্ষতা ও সততার কারণে সরাসরি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দুইবার সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইবার সাধারণ সম্পাদক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সর্বশেষ কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত ও অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল পরিবারে জন্ম নেওয়া বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে মাত্র ২৭ বছর বয়সে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সিকদারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পত্রিকায় উদ্দেশ্যমূলক, মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বাস্তব অনুসন্ধানে জানা যায়, বসুরহাট বড় মসজিদে (জামে মসজিদ) বিগত কমিটির সভাপতিসহ সকলে ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়ার কারণে মসজিদ কমিটিতে শূন্যতা সৃষ্টি হয়। তারই প্রেক্ষিতে গত এক বছর আগে মসজিদের নিয়মিত মুসল্লী, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ মসজিদে বসে সর্বসম্মতিক্রমে সাবেক চেয়ারম্যান ও একজন ধর্মীয় ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান হিসেবে নুরুল আলম সিকদারকে মসজিদ কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করে। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তিনি সুনামের সহিত মসজিদের দায়িত্ব পালন করছেন।
সরেজমিনে মুছাপুর ও চরএলাহী ইউনিয়নে গিয়ে জানা যায়, ওখানকার ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রামের কুমিরা ও মীরেরশরাই থেকে বৈধভাবে বালু ক্রয় করে এনে সাইনবোর্ড লাগিয়ে, ট্রেড লাইসেন্স এর মাধ্যমে নোয়াখালী ও চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে। ওখানে কোন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয় না। এব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইনশৃঙ্খলা সভায় অনেকবার উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কোথাও বালু উত্তোলন করা হয় না, বরং বালু বিক্রি করা হয়।
চরএলাহীর খেয়াঘাটের আইনগত সমস্যা থাকার কারণে সরকার ইজারা দিতে পারে নাই। তাই সেখানে স্থানীয় লোকজন ঘাট পরিচালনা করে। ঘাট দখল ও চাঁদাবাজির সাথে সিকদারের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নাই। নদীতে যে কাঠের বোট ও স্পীড বোট জনস্বার্থে যাত্রী ও মালামাল পার করে এটা কোন অবৈধ ব্যবসা নয়। ঘাট দখল এর সাথে সিকদারকে জড়িয়ে যে সংবাদ পত্রিকা বা ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে তাহা সম্পূর্ণ বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক ও গুজবের অংশ। রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ প্রপাগাÐা করা হচ্ছে।
এব্যাপারে নুরুল আলম সিকদার বলেন, আমার ৩৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। বিগত ১৬ বছর আওয়ামীলীগের শাসনামলে অনেক দিন নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ২ডজন মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। এত নির্যাতন ও অবিচারের পরেও আমি আমার দলের নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, একটি কুচক্রী মহল আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিভিন্ন পত্রিকায় কুৎসা রটাচ্ছে। আমি এ মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
You cannot copy content of this page