বিশেষ প্রতিনিধি : দীর্ঘদিন অযতœ অবহেলায় পড়ে থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালো মানিক সাবেক বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহর সমাধিস্থলকে নান্দনিক নামফলকসহ পাকাকরণের দায়িত্ব নিয়েছেন বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শাহেদ শাহরিয়ার।
বুধবার রাত ৯ টায় মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে "বঙ্গবন্ধুর কালো মানিকের সমাধিস্থল সংস্কারের দায়িত্ব নিলেন চেয়ারম্যান শাহেদ শাহরিয়ার" পোস্টটি ব্যাপক ভাইরাল হয়। নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শাহেদ শাহরিয়ার বলেন, ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কালো মানিক বলে ডাকতেন।উনি মারা যাওয়ার ৩ বছর অতিবাহিত হলেও অর্থের অভাবে উনার সমাধিস্থল অযতœ অবহেলায় পড়ে ছিল।বিষয়টি নজরে আসলে আমি উনার সমাধিস্থলে গিয়েছি। উনার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেছি।আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে উনার সমাধিস্থলকে নান্দনিক নামফলকসহ পাকাকরণ করে দিব ইনশাআল্লাহ। যেন নতুন প্রজন্ম উনার সম্পর্কে জানতে পারে।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ ২০২১ সালে ১৫ মে হার্ট অ্যাটাক মৃত্যুবরণ করেন।তিনি ১৯৬৯ ও ১৯৭২ সালে টানা দুইবার চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। পরে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, সহ-সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৬২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নোয়াখালীতে সফরে আসলে চৌমুহনী স্টেশনে শ্লোগান দেওয়া অবস্থায় ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহকে বঙ্গবন্ধু ট্রেনে নিজের বগিতে তুলে সাথে নিয়ে যান। তখন তিনি চৌমুহনী মদন মোহন হাইস্কুলের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন। সেই দিন থেকে তিনি জাতির জনকের ভক্ত হন এবং মূলত সে সময় তার প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হয়।পরে ১৯৮১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সভানেত্রী হওয়ার পর প্রথম জনসভা হয় নোয়াখালীতে। সেই জনসভা সফল করার জন্য ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ সারা নোয়াখালীতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন এবং জনসভা সফল হয়। ১৯৮১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি এরশাদ বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করার কারণে একাধিকবার গ্রেফতার ও জুলুম নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর চৌমুহনীতে ১৬ই ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের বিজয় দিবসের মিছিল চলাকালে ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহকে লক্ষ করে বোমা হামলা করা হলে তার ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ওই সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং কৃত্রিম চোখ সংযুক্ত করা হয়।
You cannot copy content of this page